পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ৭টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত,সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্য তেল, চিনি, মশুর ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর, চাল, গমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির পঞ্চম সভায় মন্ত্রী থেকে এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
টিপু মুনশী জানান, চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমদানিনির্ভর পণ্যগুলো আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার সুবিধার্থে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার রাখার জন্য ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব দিয়েছেন। অনেক ব্যবসায়ী চিনির ওপর আরোপিত ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহের দাবি জানিয়েছেন। দেশের মানুষের সুবিধার জন্য বিষয়গুলো নিয়ে সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
ভারত থেকে যে সব পণ্য আমদানি হয়, সেগুলো আগে না জানিয়ে হঠাৎ করে রফতানি বন্ধ না করার বিষয়ে দেশটির সরকারকে জানানো হয়েছে।
ভারত সরকার বাংলাদেশের চাহিদা মোতাবেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের নিশ্চয়তা দিয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সবদিক বিবেচনায় বলা যায়, আগামী দিনগুলোতে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনও পণ্যের সংকট হবে না, মূল্য স্বাভাবিক থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাজার অভিযান জোরদার করা হবে। আগামী রমজান শুরুর আগে একসঙ্গে বেশি পরিমাণ পণ্য কেনার কোনও প্রয়োজন নেই। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রচার মাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, দেশের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও স্বাভাবিক মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। পণ্যের সঠিক মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে যাতে ন্যায়সঙ্গত মূল্য নিশ্চিত করা যায়। সরকার সার্বিক বিষয়ে অবগত আছে।
তিনি জানান, নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য আমদানিতে এলসি খোলাসহ সব ধরনের সহযোগিতা সরকার দেবে। সব ব্যবসায়ীকে সততার সঙ্গে ব্যবসা করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের খন্দকার নাজমূল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন) মো. আব্দুল হক প্রমুখ।