





পিটার ড্রুরি যেমন বলেছেন, এই ম্যাচ একটি দেশ, একটি মহাদেশ এবং পুরো আরব বিশ্বের জন্য। আরব বিশ্বের তো বটেই, আফ্রিকার ইতিহাসেই প্রথম দেশ হিসেবে শেষ চারে পৌঁছে গেলো মরক্কো। এল নাসেরির একমাত্র গোলে পর্তুগালকে বিদায় করলো জিব্রাল্টার প্রণালীর পাড়ের আফ্রিকান দেশটি। আর এই ম্যাচ দিয়েই শেষ হলো কিংবদন্তি ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোর বিশ্বকাপ মিশন। শুন্য হাতেই ফিরতে হলো পর্তুগাল যুবরাজকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই খেলেছে স্বভাবসুলভ কাউন্টার অ্যাটাকে। স্বাভাবিকভাবেই আন্ডারডগের তকমা নিয়েই মাঠে নামে আফ্রিকান দেশটি। একাদশে রোনালদো না থাকলেও আক্রমণের ধারে এগিয়েই ছিলো পর্তুগাল। যদিও মাঠের খেলায় তার প্রভাব পড়েছে কমই। হাকিমি, রোমান সাইস আর হাকিম জিয়েখে ভর করে দারুণ ফুটবলেই জবাব দিয়েছে মরক্কো।

গোছানো কাউন্টার অ্যাটাকের ফলটা মরক্কো পায় প্রথমার্ধের শেষ সময়ে। ম্যাচের ৪২ তম মিনিটে দারুণ কাউন্টার অ্যাটাকে পর্তুগিজ শিবিরে ধাক্কা দেন ইউসুফ এল নাসেরি। ইয়াহিয়া আয়াত উল্লাহ’র ক্রসে অনেকটা লাফিয়ে পর্তুগালের জালে বল জড়ান মরক্কোর ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মাঠে নামেন পর্তুগালের নিয়মিত মুখ রোনালদো। স্বভাবতই আক্রমণের ধার অনেকটাই বাড়ায় ইউরোপের দেশটি। তবে মরক্কোর ত্রাতা ছিলেন ইয়াসিন বোনো। আগের ম্যাচের মতো এবারেই দলকে বিপদমুক্ত করেছেন বারবার।
এরমাঝে রোমান সাইস আর হাকিম জিয়েখ উঠে গেলে চাপে পড়ে মরক্কো। কিন্তু রক্ষণদুর্গে অবিচল ছিলেন মরক্কো। লাল কার্ডের কারণে শেষ ৫ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেললেও স্নায়ুচাপ ধরে রেখেই সেমিফাইনালে উঠে যায় মরক্কো।