





বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা হারুন-অর রশীদের। তিনি বলেন, ‘আপাত দৃষ্টিতে আমার কাছে মনে হচ্ছে, এটি একটি আত্মহত্যা। আমি ডাক্তারের (ময়নাতদন্তকারী) সঙ্গে কথা বলেছি, পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট দেখেছি, সার্বিক দিক দেখে মনে হয়েছে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা’।
এদিন গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় র্যাব জানায়, বুয়েট ছাত্র ফারদিন মৃত্যু সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং অগ্রগতি পেয়েছে র্যাব। এ নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত ৪ নভেম্বর রামপুরা থেকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় যান বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ। নিখোঁজের তিন দিন পর (৭ নভেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। এর আগে ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় তার বাবা রামপুরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ফারদিন বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম-সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিন ভাইয়ের মধ্যে ফারদিন সবার বড়
তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের নয়ামাটি এলাকায়। তবে গত দুই বছর যাবত তারা সপরিবারে রাজধানীর ডেমরা থানার শান্তিবাগ কোনাপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করছিলেন। পরশের বাবা কাজী নূর উদ্দিন রানা দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে সাংবাদিকতা করছেন।
ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের পর তার বাবা রামপুরা থানায় মামলা করেন। এতে ফারদিনের বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুশরার নাম উল্লেখ করে কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পরে বুশরাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে বুশরা কারাগারে রয়েছেন।
লাশ উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক শেখ ফরহাদ বলেন, নিখোঁজ হওয়ার দিনই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন ফারদিন। তার মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ মৃত্যুর আগে শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি।