<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রলীগের নেতাদের চাপে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. এনামুল হক এনাম, মাসুফ আহমেদ, আবদুর রহমান ইফতি, মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরাফাত ইসলাম বিজয় ও সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার।
এর মধ্যে মো. এনামুল হক এনাম, মাসুফ আহমেদ, আবদুর রহমান ইফতি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেলের অনুসারি এবং মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, আরাফাত ইসলাম বিজয় ও চিন্ময় সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারী।
জানা যায়, গত ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চলমান আল-বেরুনী হল সংলগ্ন খেলার মাঠের উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দেন ছাত্রলীগের নেতারা। তারা মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হল ও শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। আর এ হল দুটির মাঝে মাঠটির অবস্থান হওয়ার কারণে দুই হলের ছাত্রলীগ নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে টাকা দাবি করেন। অন্যথা কাজ করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ছাত্রলীগের নেতারা।
নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডিং করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মমিনুল করিম বলেন, ‘গত ১৮ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা আমাদের সাইট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে দেখা করেন। তখন তারা আমাদেরকে কাজ বন্ধ রাখতে বলেন। এর পরে তারা আরো একবার দেখা করেছে। তাদের নানা দাবি-দাওয়া আছে। আমরা এসব ব্যাপারে তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করেছি। এখন পর্যন্ত আমাদের কাজ বন্ধ আছে। কাজ শুরুর ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি এখনো হয়নি।’
এদিকে সম্প্রতি এসব চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে শহীদ সালাম বরকত হলের এক জুনিয়র নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠে এক নেতার বিরুদ্ধে। হলটির জুনিয়র নেতারা দাবি করেন চাঁদাবাজির সকল অর্থ ভাগাভাগি করেন হলের সিনিয়র নেতারা। আর এ নিয়ে অর্থের কৈফিয়ত দাবি করেন হলটির ৪৫ ব্যাচের নেতারা। এতে তাদের উপর চড়াও হন সিনিয়র নেতারা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ৪৫ ব্যাচের এক নেতাকে চড় মারেন হলটির এক সিনিয়র নেতা।
তবে কাজ বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক এনাম বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অসুবিধা নিয়ে বলতে গেছিলাম। আমাদের আল বেরুনী হলের সাথেই কাজ হওয়ায় হলের শিক্ষার্থীদের অনেক সম্যসা হচ্ছিল। এছাড়াও এখানে কোন বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছিল না।হলের রুমগুলোতে ধুলাবালি সহ শব্দে পড়াশোনার সম্যসা হচ্ছিল। বন্ধের বিষয়ে কোন কথা হয়নি।
মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, কাজ কেন বন্ধ হয়েছে আমি জানিনা। আমারা আমাদের সম্যসার বিষয়ে উনাদের সাথে কথা বলেছি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা ছিল না।অভিযোগের সত্যতা পেলে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেবো।
অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আলবেরুনী হল সংলগ্ন মাঠের কাজ দ্রুততার সাথে চলছিলো। কিন্তু কিছু কারণে কাজটি বন্ধ রয়েছে। ঠিক কি কারণে বন্ধ আছে আমি বলতে চাচ্ছি না আপনারা সাংবাদিকরা অনুসন্ধান করলেই বুঝতে পারবেন কেনো বন্ধ আছে। আমরা কাজটি দ্রুত চালু করতে চাই এবং কাজ শেষে হস্তান্তর করেও দিতে চাই। কাজ করতে এ ধরনের বাধা পেলে আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।’
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ২১টি অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের শুরু থেকে এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগের নাম। যার জেরে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তাদের বিরুদ্ধে এ প্রকল্প থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ তোলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।