ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেন রাশিয়ার তেলের ওপর সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেওয়া নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে মস্কো।
এ বিষয়ে রুশ পার্লামেন্টের নিম্ন-কক্ষের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক কমিটির প্রধান লিওনিদ স্লাটস্কি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এসব কর্মকাণ্ড প্রকৃত অর্থে তাদের নিজেদের জ্বালানি নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে।
জানা যায়, রাশিয়ার এক ব্যারেল তেলের সর্বোচ্চ দাম ৬০ ডলার নির্ধারণ করে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয় পশ্চিমা দেশগুলো। তবে ইউক্রেন অবশ্য চেয়েছিল এই মূল্য ৩০ ডলার করা হোক। আগামী সপ্তাহ থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
পশ্চিমা জোটের এমন পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য— জ্বালানির বিশ্ববাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে রুশ অর্থনীতিকে ধাক্কা দেওয়া।
রাশিয়ার তেলের মূল্য সর্বোচ্চ রাখার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন জানান, রাশিয়ার তেলের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দেওয়ার ফল তাৎক্ষণিকভাবেই মস্কোর রাজস্বের ওপর পড়বে।তেল বিক্রির ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার ফলে পুতিনের আয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসের ওপর তাৎক্ষণিকভাবে আঘাত লাগবে।
পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কাছ থেকে সর্বোচ্চ কত দামে জ্বালানি তেল কিনতে পারবে; তার সীমা বেঁধে দিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেনের সদস্য দেশসমূহ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অস্ট্রেলিয়া বলেছে— ৫ ডিসেম্বর থেকে দামের এই ঊর্ধ্বসীমা কার্যকর হবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থির হয়েছে।
পশ্চিমাদের পরিকল্পনায়, রাশিয়ার কাছ থেকে অশোধিত তেল কেনার জন্য প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারের বেশি দাম দেওয়া যাবে না। গত সেপ্টেম্বর মাসে জি-সেভেন জোট এ প্রস্তাবের কথা জানিয়েছিল।
এমন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনে রুশ অভিযানের প্রেক্ষাপটে রাশিয়া যেভাবে তেল রপ্তানি করে লাভবান হচ্ছে, এর গতি থামিয়ে দেওয়া।
এই পদক্ষেপের ফলে রাশিয়া যেভাবে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালানোর জন্য অর্থসংস্থান করছে তাকে সীমিত করবে বলে বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের।