<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় দুই কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জয়ন্ত কুমার মোহন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ মে) উপজেলার দাশিয়ারছড়া ইউনিয়ন থেকে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, রোববার সকালে ছাত্রলীগ নেতা জয়ন্ত তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে দুই কিশোরকে বলাৎকার করেন। পরে ভুক্তভোগী এক কিশোরের দাদা শামসুল হক বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় মামলা করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে ওই দুই কিশোর ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মামলার বাদী শামসুল বলেন, ঘটনার দিন সকালে আমার নাতিসহ তারা চার বন্ধু ফুলবাড়ী শিশুপার্কে ঘুরতে যায়। জয়ন্তের সঙ্গে আগে থেকে তাদের কোনো পরিচয় ছিল না। উপজেলা পরিষদ গেটের সামনে জয়ন্তের কফিশপ আছে। সেখানে সে সবাইকে ডেকে নেয়। সেখানে পরিচয় হওয়ার পর কৌশলে ওই চার বন্ধুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় জয়ন্ত। পরে তিনজনকে বাড়ির সামনে চায়ের দোকানে রেখে একজনকে ভেতরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, ঘণ্টাখানেক পরও বন্ধু ফিরে না আসলে বাকি তিনজন ওই বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়। দরজায় গিয়ে ডাক দিলে মারমুখী হয়ে দরজা খুলে আরও একজনকে আটক করে জয়ন্ত। অন্য দুই বন্ধু তখন ভয়ে পালিয়ে যায়। এরপর গেটে তালা দিয়ে মারধরসহ গলায় ছুরি ধরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই দুইজনকে আটকে রেখে বলাৎকার করে জয়ন্ত। পরে একটি রিকশা ভাড়া করে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি এসে আমার নাতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জিজ্ঞাসা করলে ঘটনাটি আমাদের জানায়। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে থানায় জয়ন্তের বিরুদ্ধে মামলা করি।
ফুলবাড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌকির হাসান তমাল বলেন, কারও ব্যক্তিগত কোনো অপরাধের দায়ভার সংগঠনের না। তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুর রহমান বলেন, দুই কিশোরের মধ্যে একজনে দাদা বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে জয়ন্তকে গ্রেফতার করা হয়।