<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
<figure><img class=”tie-appear” src=”https://i.imgur.com/op8E2Cp.jpg“></figure>
পুলিশ কর্তৃপক্ষ খুলে দেয়ার আশ্বাস দিলেও শুক্রবার সকালেও রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ আছে।
এছাড়া যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার ১১ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে কাকরাইল ও ফকিরাপুল মোড়ে নাইটিঙ্গেল রেস্টুরেন্টের সামনে পুলিশ আবারও ব্যারিকেড দিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে এ সড়ক অবরোধ তুলে নেয় পুলিশ।
আজ সকাল থেকেই এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ পরিচয়পত্র ও যথাযথ যাচাই-বাছাই ছাড়া কাউকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।
বেলা ১১টার দিকে ফকিরাপুল মোড়ে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
একজন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য ইউএনবিকে বলেন, জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
মতিঝিল বিভাগের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, নয়াপল্টনসহ আশপাশের এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ এলাকায় বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, সকাল থেকে কয়েকজন নেতাকর্মী নয়াপল্টনের আশপাশের এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেও তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
অবরুদ্ধ সড়কে কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান, প্রিজন ভ্যান ও পুলিশের গাড়ি রয়েছে।
এদিকে সকাল ১০টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের যোগদানের কথা থাকলেও তাকে এলাকায় প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে দুই নিরাপত্তারক্ষী পাহারা দিচ্ছে। তারা জানান, গত বুধবার পুলিশের অভিযানের পর বিএনপির কেউ কার্যালয়ে আসেননি। কেউ আসবে কি না তার কোনো ধারণাও তাদের নেই।
নয়াপল্টন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে
অন্যদিকে, দলের দুই শীর্ষ নেতাকে গোয়েন্দা পুলিশের তুলে নেয়ার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য ভার্চুয়াল বৈঠকে বসার কথা রয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাদের।
শুক্রবার ভোরে বিএনপি দাবি করেছে, রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে সাদা পোশাকের পুলিশ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ছয় ঘণ্টা বৈঠক করে। যেখানে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুর বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশ করার বিষয়ে কথা হয়।
পরে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে নিয়ে আব্বাস দুটি অনুষ্ঠানস্থল পরিদর্শন করেন।
ওই বৈঠকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার আশ্বাস দেয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দলের প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে।
বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত বিএনপির ৪৪৫ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ শীর্ষ নেতাদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল (শনিবার) নয়াপল্টনে ঢাকা বিভাগীয় জনসভা হওয়ার কথা রয়েছে।