12 C
New York
Wednesday, March 29, 2023

Buy now

spot_img

পদে ফিরতে সাধারণ ক্ষমা চাইলেন ডা.মুরাদ

ক্ষমা চেয়ে দলীয় পদে ফিরতে চাইছেন ডা. মুরাদ হাসান। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দলীয় প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার আবেদন করেছেন মন্ত্রিত্ব ও দলীয় পদ হারানো এই নেতা।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের এমপি জাতীয় সংসদের প্যাডে এ আবেদন করেছেন।

একটি গণমাধ্যমকে ডা. মুরাদ বলেন,আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের পরামর্শে তিনি সাধারণ ক্ষমার জন্য আবেদন করেছেন। আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পাঠানো চিঠিতে ডা. মুরাদ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ তিনি করবেন না, যাতে দলের সন্মানহানি হয়।

চিঠির বিষয়ে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, ‘চিঠি আমি হাতে পাইনি, হয়ত এখন পাব। যেহেতু দপ্তরে জমা দিয়েছেন এবং তিনি ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেছেন, আমরা বিষয়টি আজকের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংয়ে উত্থাপন করবো, সিদ্ধান্ত কি সেটা মিটিংয়ে হবে।

গত বছর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে ফেইসবুকে এক টকশোতে বর্ণ ও নারী বিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য কড়া সমালোচনা ‍মুখে পড়েন মুরাদ। এর কাছাকাছি সময়েই এক চিত্রনায়িকাকে টেলিফোনে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেওয়ার একটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।

ডা.মুরাদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার পর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর দুপুরে ইমেইলে মুরাদের পাঠানো পদত্যাগপত্র তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে পৌঁছায়। সেখানে তিনি লেখেন, প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ‘ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায়’ তিনি পদত্যাগ করতে চান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মুরাদ তার সাধারণ ক্ষমার আবেদনে জানান, আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে ৭ ডিসেম্বর উক্ত পদ থেকে আমোকে অব্যাহতি প্রদান করে।
আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ় প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করিতেছি যে ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সন্মানহানি হয়।

অতএব বিনীত নিবেদন এই যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন৷

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,756FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles