স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন,বিএনপির শাসনামলে (২০০১-০৬) আওয়ামী লীগের নিখোঁজ নেতা-কর্মীদের তালিকা করা হচ্ছে। বিএনপির আমলে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকা করা গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
সোমবার(১৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আসন্ন বড়দিন উদযাপন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও আনুষঙ্গিক বিষয়ে সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনটা জানান।
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও হুঁশিয়ারি বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গুম ও নিখোঁজের বিষয়ে আমরাও পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এ সময় তিনি দাবি করেন বিএনপির আমলে হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে। বিচারহীনভাবে যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের তালিকা করা হচ্ছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা–কর্মী হত্যা করা হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল। গুম করা হয়েছিল। সবকিছুর তদন্ত হোক। সবকিছুর একটা ব্যবস্থা হোক। এটা আমরাও চাই।
ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা ইস্যুতে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,আতশবাজি কিংবা পটকা ফোটানো যাবে না। রাস্তায় বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না। অবশ্য পুলিশের অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে; তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে নয়। বারগুলো (পানশালা) ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরদিন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,থার্টি ফার্স্টের আগে ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। সারা দেশে ৫ হাজার ৬৪২টি গির্জায় বড়দিন উপলক্ষে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বড়দিনে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো যাবে না।
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোর প্রবেশপথে আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা থাকবে। কূটনীতিকপাড়ায় বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিএনপি অভিযোগ তুলেছে, আওয়ামী লীগের গত দেড় দশকের শাসনকালে নিজেদের অনেক নেতা–কর্মী নিখোঁজ ও গুম হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণার সময় বিএনপি আবারও বলেছে, এসব গুম, হত্যা ও নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার বিচার করবে তারা।