





বিপিএলের সমালোচনা করে সাকিব আল হাসান রীতিমতো বোমাই ফাটিয়েছেন দেশের ক্রিকেটে। বিপিএলের এই নবম আসরে এসে ক্রিকেটের চেয়ে মাঠের বাইরের আলাপেই বেশি মত্ত সবাই। তবে এমন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর দেশের সেরা ক্যাপ্টেন মাশরাফিকে পাশে পাচ্ছেন সাকিব।
সাকিব যা বলেছেন, সেটিকে ‘স্পট অন’ বলেই মন্তব্য করলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। যদিও বিপিএলের ব্যাপারগুলো ঠিকঠাক করতে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে বলেও মনে করেন তিনি। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো কীভাবে লাভ করতে পারে—এ ব্যাপারগুলো ভাবতে হবে বলেও মনে করেন ম্যাশ।
আগামীকাল বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মুখোমুখি হবে সিলেট। ম্যাচের আগে আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মাশরাফি। সেখানেই উঠে এসেছে সাকিবের মন্তব্যের প্রসঙ্গ। সেখানে মূলত বিসিবির দিকে সরাসরিই আঙুল তুলেছেন সাকিব।
অনেকটা সাকিবের মতো করেই মাশরাফি বললেন, এটি হযবরল। ‘পরিবেশ দেখলে আপনার তা–ই মনে হবে। কারণ, এক মাঠে ছয়-সাত দল অনুশীলন করছে। রংপুর যেমন তাদের নিজ দায়িত্বে নিজেদের মাঠে অনুশীলন করছে, এ বিষয়গুলো কিন্তু ম্যাটার করে। আমাদের ওই নির্দিষ্ট দলের সুযোগ-সুবিধা, ওই যে বললাম না, আয়োজনটা সঠিক পন্থায় করতে হবে। তখন হয়তোবা এটা হবে। খালি চোখে যে কেউ এসে দেখে যে একই মাঠে সবকিছু হচ্ছে, অনুশীলন হচ্ছে। এটা হযবরল ব্যাপার, এটা বলতে পারে।’
মাশরাফি বলেছেন, মাঠের খেলায় বিপিএলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ থাকে ঠিকই। তবে বিপিএলের হাইপ তোলা থেকে শুরু করে আয়োজনে অব্যবস্থাপনা, বিসিবি বা আয়োজকদের সদিচ্ছার অভাবের ব্যাপারে সাকিবের সঙ্গে একমত মাশরাফি।
বিপিএলের ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে একমত, ইচ্ছার জায়গা, সীমাবদ্ধতার জায়গাও মাথায় এনেছি। লাভ না হলে তো আপনি থাকতে চাইবেন না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকগুলো লোকসান করে। ওই জায়গায় ক্রিকেট বোর্ডকে দেখতে হবে। সেটা কমফোর্ট জোনে আনলে টুর্নামেন্টের চেহারা বদলে যাবে। সিলেটের দলেরই কত নাম। তিন বছর পর আল্লাহ না করুক যদি স্ট্রাইকার্স না থাকে, যারা কিনেছে, তারা যাতে টিকতে পারে, সেই কমফোর্ট জোনটা তৈরি করা। এটা ক্রিকেট বোর্ডকেই করতে হবে। কিন্তু দিন শেষে খেলার মাঠে খেলা কিন্তু খেলার মতোই হয়। একটা টুর্নামেন্টের সৌন্দর্য আছে, শুরুর দিকে একটা হাইপ তোলার ব্যাপার আছে—এ জিনিসটা হয়তো আমরা শুরু থেকেই পারিনি, এটা সত্য।’
মাশরাফি অবশ্য ইতিবাচক এমনসব মন্তব্যে। বললেন, “এত কিছু সাকিব বলেছে, আমিও কিছু না কিছু বললাম। এই যে পরবর্তী বছরে যদি ছয় মাস আগে পরিকল্পনা করে, যেহেতু তিন বছরের জন্য দলগুলো দিয়েছে, এটা ভালো হয়েছে, দারুণ হয়েছে। অন্তত তিন বছরের জন্য নিয়েছে। দলগুলো এখন ক্লিয়ার, দলগুলোকে সমর্থন করতে হবে। কোন উপায়ে সমর্থন করবে, দলগুলো কী চায়, তারা কী চায়—বিপিএল গভর্নিং বডির সঙ্গে বসলে কিন্তু সমাধান হয়। টুর্নামেন্টের তিন মাসে একটা নিলাম, তারপর টুর্নামেন্টের আগে মাঠে অনুশীলন করে এভাবে পরিবর্তন হবে না। বিস্তর আলোচনার বিষয় আছে। রমিজ রাজা (পিসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে) এক বছরে এসে লাভ কত করেছে (পিএসএলে)। এমন কিছু তো করেনি। অর্গানাইজড ছিল। সাকিব যেটা বলেছে, স্পট অন মনে হয়। একটু যদি পরিবর্তন আনি, বাংলাদেশে কিছুটা বাধা আছে। তাদের একটু সহায়তা দিলে এটা হবে।’