ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার হুমকি ফিয়ে সমালোচিত হলেন মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের একজন জ্যেষ্ঠ কংগ্রেস নেতা। সেই নেতার নাম রাজা পাতেরিয়া। এক বক্তৃতায় সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেছেন, দেশের সংবিধানকে বাঁচাতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার প্রস্তুতি নিতে হবে তাঁদের। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন সূত্রে এমনটা জানা যায়।
এ বক্তব্যের পরই সমালোচনা শুরু হয়, পরবর্তীতে পাতেরিয়া এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে বলেন, হত্যা বলতে তিনি মোদিকে হারানোর কথা বলেছেন। তবে এ ব্যাখ্যাও দমাতে পারেনি সমালোচকদের।
ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধী যে মুহুর্তে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা কিংবা ভারতকে ঐক্যবদ্ধ করো’ নামে লংমার্চ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন ঠিক তখনই দলীয় এক নেতার এমন বক্তব্যে চাপে পড়েছে কংগ্রেস। বিজেপির অনেক নেতা পাতেরিয়ার গ্রেপ্তার দাবি করেছেন।
মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সরকার সাবেক মন্ত্রী পাতেরিয়ার বিরুদ্ধে পুলিশকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। পাতেরিয়ার এ মন্তব্যকে আবার ‘ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ’ বলে বর্ণনা করেছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
এ বিষয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলছেন, ভারত জোড়ো যাত্রার ভান করা ব্যক্তিদের আসল রূপ এখন বেরিয়ে আসছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে রাজা পাতেরিয়া যে মন্তব্য অনলাইন মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, সেখানে তিনি বলেন, মোদি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে শেষ করবেন। ধর্ম, বর্ণ, ভাষার ভিত্তিতে দেশের মানুষকে বিভাজিত করবেন। দলিত, আদিবাসী, সংখ্যালঘুদের জীবন বিপন্ন। যদি সংবিধানকে বাঁচাতে চান, তাহলে মোদিকে হত্যায় প্রস্তুত হোন।
পরবর্তী সময়ে আরেক ভিডিও বার্তায় পাতেরিয়া বলেন, তাঁর বক্তব্যে তিনি হত্যা বলতে পরাজয় বুঝিয়েছেন। তিনি মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি অনুসরণ করেন। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার জন্য নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পরাজিত করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।