





বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই সকলের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো হত্যার শিকার হয়েছেন বুয়েটের এই শিক্ষার্থী। কিন্তু প্রায় তিন সপ্তাহের তদন্ত শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ফারদিন হত্যার শিকার হননি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাটির ছায়া তদন্তকারী সংস্থা র্যাবও বলেছে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার তদন্ত করে ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এটি প্রতীয়মান হয়েছে যে ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে ফারদিন নিহতের পর তার বাবা নূরউদ্দিন রানার করা মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন ফারদিনের বান্ধবী বুশরা।
ফারদিনের আত্নহত্যা প্রসঙ্গে পুলিশের বিবৃতির পর বুশরার মা মোসাম্মৎ ইয়াসমিন বলেন, চার বছরের বেশি সময় ধরে বুশরা ও ফারদিনের মধ্যে পরিচয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতা নিয়ে কথা হতো তাদের। পরে তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে ফোনে ও মেসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হতো। তাও জানত বুশরার পরিবার। দুজনের মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু একটা ঘটনার পর বুশরাকে আসামি করে মামলা করা হলো। তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে আনা হলো। এখন জানতে পারছি ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে মেয়েটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তিত। তার সহপাঠীরা তাকে কীভাবে গ্রহণ করবে সেটাও দেখার বিষয়। মেয়েটা হয়তো আর আগের মতো স্বাভাবিক হতে পারবে না।
গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। এরপর গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে বুশরাসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।