প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, সুশৃঙ্খল পরিবেশে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকবে। আমরা অত্যন্ত আশ্বস্ত।
মঙ্গলবার(১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে না। এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়গুলো বোঝে, অনুধাবন করে এবং উপলব্ধিও করে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সুচারুভাবে দেখবে। সেই দিক থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
আমাদের মেসেজগুলো আপনাদের মাধ্যমে যথাযথভাবে চলে যায় উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আপনারা আপনাদের নাগরিক দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি আশ্বস্ত করছি। আপনারা বাধার সম্মুখীন হবেন না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও আশ্বস্ত করেন, স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে কেউ যদি কোনো প্রকার অন্তরায় সৃষ্টি করে কঠোরভাবে হস্তক্ষেপ করব। এরপরও আমরা সজাগ থাকব।
ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও তা পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। আমরা কেন্দ্র থেকে দেখতে পারব। এখানেও একটি সেন্টার থাকবে। তারাও দেখতে পারবে।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের নির্বাচন নিয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সিইসি বলেন, নির্বাচনে মিডিয়ার বিচরণ অবাধ হবে। আপনারা ভেতরে যেতে পারবেন। শুধু গোপন কক্ষে যেতে পারবেন না। মিডিয়ার গুরুত্ব আমরা দিয়ে থাকি। সাংবাদিকদেরও আচরণবিধি মানতে হবে, সেটি কার্ডে উল্লেখ থাকবে। মিডিয়াকে আমরা খাটো করে দেখি না। মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিহার্য।
নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, এ জন্য একটি সভা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনসহ পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। দৃশ্যমান যে লঙ্ঘনগুলো করা হয়েছে, এসব প্রার্থীদের জানানো হচ্ছে। দেয়ালে পোস্টার সাঁটানো থাকলে তা অপসারণ করতে বলা হয়েছে। যাঁদের বাড়িতে লাগানো হয়েছে, তাঁরাও যেন নিজেরা তুলে ফেলেন। এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা নিঃসন্দেহে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। সব দলের প্রতি আমাদের সমভাবে আপিল থাকছে, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। এখন আমরা কাউকে বাধ্য করতে পারছি না। আমরা খুশি হব বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকে তাহলে কিন্তু গণতান্ত্রিক চর্চাটা হচ্ছে না। তাই আমরা প্রত্যাশা করি, প্রতিটি দল নির্বাচনে এসে অংশগ্রহণ করবে। দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে। টেবিলে বসে আলোচনা করতে হবে। সড়কে নয়, রাজপথে শক্তি প্রদর্শন নয়। মানুষকে নির্বাচনমুখী করেন। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করে তুলুন।