





শেখ হাসিনা মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশ ও মানুষের সেবায় নিরলস কাজ করে চলেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে ভাবেন। তার পরবর্তী ভিশন ২০৪২- শান্তির বাংলাদেশ। মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে যিনি জীবনের জয়গান গান, তিনি শেখ হাসিনা। যিনি ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা ওড়ান তিনি শেখ হাসিনা। ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনার নতুন অঙ্গীকার স্মার্ট বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এদিন বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিজ বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, পলাশীর প্রান্তরে সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল মীর জাফর। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে খন্দকার মোশতাক আহমেদ আর সেনাপতি জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, জবাব দিতে হবে এই খুনিদের কারা পুরস্কৃত করল? নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল কে? জিয়াউর রহমান। খুনিদের বিচার হবে না মর্মে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করল কে? সেনাপতি জিয়াউর রহমান। ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড জিয়াপুত্র তারেক রহমান।
এসময় বিএনপির গণসমাবেশ নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ডাকে মহাসমাবেশ, বাস্তবে হয় সমাবেশ। আওয়ামী লীগ ডাকে সমাবেশ, বাস্তবে হয় মহাসমাবেশ। এটাই বাস্তবতা। খেলা হবে।
দীর্ঘ চার বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের পরিচালনা ও সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।