





জাতীয় সংসদ থেকে নিজেদের পদত্যাগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সাত সংসদ সদস্য। গতকাল দলের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে দলটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক এবং সংসদীয় হুইপ রুমিন ফারহানা জানান, এরইমাঝে তাদের পদত্যাগপত্র ইমেইল করে দেওয়া হয়েছে। রবিবার (আজ) সংসদে স্পিকারের হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তারা।
বিএনপিদলীয় এমপি জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, আজ গুলশান অফিসে দলীয় এমপিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখানে আলাপ-আলোচনার পর সবাই মিলে স্পিকারের দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হতে পারেন।
এদিকে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল জানান, ‘বিএনপির সংসদ সদস্যদের কোনো চিঠি আমি পাইনি। আমার কাছে কোনো চিঠি আসেনি।’
স্পিকার বলেন, ‘কোথায় বলেছেন বলতে পারি না। আজ তো অফিস বন্ধ। আমার কাছে কোনো চিঠি আসেনি।’
সংসদের আইন শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে (বিধি ১৭৭) বলা আছে, সংসদ থেকে কোনো সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে স্পিকারকে সম্বোধন করে নিজের হাতে লিখিত আবেদনে জানাবেন- তিনি পদত্যাগ করতে চান। পদত্যাগের জন্য সংশ্নিষ্ট এমপি কোনো কারণ দেখাতে পারবেন না। এই বিধির শর্তাংশে বলা আছে, কোনো সদস্য যদি কোনো কারণ উল্লেখ করেন, অপ্রাসঙ্গিক কোনো বিষয়ের অবতারণা করেন, তাহলে স্পিকার নিজের বিবেচনামতে ওই শব্দ বাদ দিতে পারবেন এবং তা সংসদের বৈঠকে পড়ে শোনাবেন।
একইভাবে ‘সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘কোন সংসদ সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদত্যাগ করিতে পারিবেন এবং স্পিকার কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোন কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পিকার যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে।’