সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে(সিকৃবি) ছাত্রলীগের আয়োজিত কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত দশজন আহত হয়েছেন৷
শুক্রবার বেলা পৌনে তিনটার দিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। উত্তেজিত নেতাকর্মীরা হলে ঢুকে কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর করেছে বলেও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়।
পুলিশ ও ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মো. এমদাদুল হোসেন আজ শুক্রবার বিকেলে কর্মিসভা ডেকেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে কৃষি, অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদীয় ছাত্রলীগের কর্মিসভা অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে, ছাত্রলীগের অন্য একটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা সভা আয়োজন না করতে বলছিলেন। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যেই বিরোধ চলছিল। এর জেরে শুক্রবার দুপুর থেকে ক্যাম্পাসের ভেতরে উত্তেজনা চলছিল। একপর্যায়ে বেলা পৌনে তিনটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় হল ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়।
সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে ঢুকে কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে৷
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, আমি এবং সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের অনুমতি নিয়ে আজ (শুক্রবার) কর্মিসভার আয়োজন করেছিলাম, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ইন্ধনে বিদ্রোহী ছাত্রলীগ তাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে, আমরা তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি, অনেকে আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মনিরুল ইসলাম সোহাগ গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।
প্রশাসনের ইন্ধনে বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে– বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির এমন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, না, এ রকম কিছু নয়, এটা ওনার (ছাত্রলীগ সভাপতি) ধারণা, উনিই বলতে পারবেন উনি কেন এটা বলছেন, এখানে তারা সবাই আমার ছাত্র, তাদের সবাইকে সেভাবেই আমি দেখি।
সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছিল। দুই পক্ষ ঢিল ছোড়াছুড়ি করেছে।
এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে।