পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল। উপদ্রুত সিলেট, সুনামগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনীসহ বিভিন্ন এলাকায় এ মুহূর্তে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নতুন সংকটে বানভাসি মানুষ। এসব এলাকায় বন্যার পর তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। একইসাথে বিশুদ্ধ পানি, গবাদি পশুর খাবার, রান্না ঘরের চুলাসহ নানা সমস্যার মুখে পড়েছে বন্যা কবলিত পরিবারগুলো।
কিছু কিছু বাড়িঘর থেকে পানি নামতে শুরু করলেও রাস্তাঘাট এখনো তলিয়ে আছে।ফসলি জমি থেকে পানি নামতে শুরু করায় ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনো দুর্ভোগ কমেনি ৫ উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের মানুষের। চলতি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় জেলার ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শ্রেণিকক্ষে পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে পাঠদান।
পানি নামতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের চর, দ্বীপচর ও নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা থেকে। পানি সরে গেলেও বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি। রান্নার জন্য এখনো চুলা জ্বালাতে পারেনি অনেক পরিবার।
টাঙ্গাইলের বন্যাদুর্গত এলাকায় গবাদি পশুর খাবারের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতায় নষ্ট হয়ে গেছে কৃষকের সবজি ক্ষেত। এসব এলাকায় এখনও কোনো প্রকার সরকারি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ বানভাসি মানুষের।
সিলেটে বন্যার পানি নামার পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে থাকছে বানভাসি কতিপয় পরিবার।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল কাদির নামের এক ব্যক্তি নিজের অসহাত্ব প্রকাশ করে বলেন, ‘এমন বেঁচে থাকার চেয়ে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়াটাই ভালো ছিল। এখন তো না পারবো বাঁচতে, না পারবো মরতে। নতুন করে জীবন শুরু করারও কোনো উপায় নেই।’ বন্যায় তার উপার্জনের মাধ্যম হাঁস ভেসে গেছে। থাকার আশ্রয় ঘরটি মিশে গেছে মাটিতে।
সরকারের পক্ষ থেকে নানা আশ্বাস দেওয়া হলেও ভরসা পাচ্ছে না বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা। দ্রুত পুনর্বাসনের জন্য তারা আবেদন জানাচ্ছে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে।