সরকারের সাফল্য আমলাদের কর্মতৎপরতার ওপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন,সরকারের ভেতরের স্টিল ফ্রেম হচ্ছে আমলাতন্ত্র। দেওয়ালের ভেতরে যেমন লোহার ফ্রেম থাকে, তেমনি সরকারের ভেতরের লোহার কাঠামো হচ্ছে আমলারা। তবে তাদের পরিচালিত করে রাজনৈতিক শক্তি।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০২১-২২ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিকল্পনা বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক শক্তি যেমন চান সেভাবে তারা কাজ করে। ঘোড়ার সওয়ারের মতো রাজনীতিবিদরা আমলাদের পরিচালিত করেন। এসিআর (বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন) পদ্ধতিতে অনেক সমস্যা আছে। যেমন সবাই এক্সসেপশনাল পায়। এটা কীভাবে হয়। এক্সসেপশনাল তো একজনই হয়। জাজমেন্টে সমস্যা ছিল। এখন এপিএ (বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি) পদ্ধতি অনেক ভালো।
এর আগে গতকাল রাজধানীতে এক সংলাপে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছিলেন, ‘কিছু কিছু বিধি বা আমলান্ত্রিকতা অন্যায় এবং অমানবিক। যে কাজ নয় সেকেন্ডে করা যায়, সে কাজে আমলারা ৯০ দিন লাগান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৯০ দিনের তিনগুণ সময়ও লাগান। দুষ্টু আমলাদের ধরা যায় না। তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে যে নিয়মকানুনগুলো আছে- তা কঠোর নয়। এখন সময় এসেছে আইনকানুনের সংস্কারের। তবে সেগুলো পারা যাচ্ছে না দুষ্টু আমলাদের চাতুরির কারণে।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম আজ বলেন, ফাইল ধরে রাখার একটা নিয়ম আছে। কিন্তু সেটা মানা হয় কি না, সেটি বড় কথা।