রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ১০৪ যাত্রী রেখে পঞ্চগড়গামী একটি ট্রেন ছেড়ে গেছে। ‘একতা এক্সপ্রেস’ নামক সেই ট্রেনের শোভন চেয়ার শ্রেণির ‘ট’ বগিটি যাত্রার আগে বিকল হওয়া সেই বগি রেখেই ট্রেনটি যাত্রা করে।
সোমবার(৪ জুলাই) সকাল ১০টা ১০ মিনিটের ‘একতা এক্সপ্রেস’ প্রায় ৫০ মিনিট দেরিতে কমলাপুর থেকে যাত্রা করেছে বলে জানা গেছে।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, কমলাপুরে বিকল্প বগি না থাকায় যাত্রীদের রেখে যেতে হয়েছে। তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। কিন্তু এই যাত্রীরা ঈদের আগে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, এমন প্রশ্নের কোন যথাযথ জবাব দিতে পারেননি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের সকাল ৯টায় বগি বিকল হওয়ার বিষয়টি জানানো হয় বলে রেলওয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
তবে সেই বগির যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কেউ কিছু যায়নি। ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার পর জানতে পারেন, তাদের রেখে ট্রেন চলে গেছে।
রেলের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) মোহাম্মদ শফিকুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় কারিগরি ত্রুটির কারণে বগিটি সাময়িকভাবে চলাচলের অযোগ্য ঘোষণা করেছে মেকানিক্যাল বিভাগ। যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
শফিকুর রহমান জানান, পঞ্চগড়ে বিকল্প বগি যুক্ত হবে এবং তা নিয়ে ঢাকায় ফিরবে। মঙ্গলবার ঢাকা থেকে যে একতা এক্সপ্রেস ছাড়বে, তাতেও ‘ট’ বগি থাকবে।
কিন্তু সোমবার যেতে না পারা যাত্রীদের কী হবে, এ প্রশ্নে তিনি জানান, তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী যাত্রী নাজমুল হক নামের এক যাত্রী বলেন, স্টেশনে এসে আসন নিশ্চিত করে তিনি ট্রেনে উঠেন। এরপর হঠাৎ জানতে পারেন, তাদের বগি রেখেই একতা এক্সপ্রেস চলে গেছে। নাজমুল হক বলেন, টাকা ফেরত নয়, ট্রেনে বাড়ি যেতে চাই।
কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, সেই বগিটির গিয়ারে ত্রুটি ছিল। যাত্রীদের সকাল ৯টায় বগি বিকল হওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। আমরা বিকল্প বগির ব্যবস্থা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। অতিরিক্ত বগি না থাকায় প্রতিস্থাপন করা যায়নি। তবে কী কারণে বগির গিয়ারে সমস্যা হয়েছে, তা জানেন না তিনি।