





দিনাজপুরের বিরামপুরে জন্ম নেয়া তিন শিশু ‘স্বপ্ন’, ‘পদ্মা’ ও ‘সেতু’র মধ্যে এবার সাত দিনের মাথায় সেতু নামের শিশুটিও মারা গেছে। এর আগে গতকাল শনিবার (২৩ জুলাই) জন্মের ছয়দিন পর ‘পদ্মা’ নামের শিশুটি মারা যায়।
রোববার (২৪ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ‘সেতু’ নামের শিশুটি মারা যায়। এখন মায়ের কোলে রইল শুধুই ‘স্বপ্ন’। শিশুর বাবা বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের কৃষ্টবাটি গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।






জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ভালোবেসে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নামে আমার তিন মেয়ের নাম রেখেছিলাম স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু। গতকাল শনিবার বিকেলে হঠাৎ দ্বিতীয় মেয়ে পদ্মা মারা যায় এবং রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তৃতীয় মেয়ে সেতুও মারা গেল। এখন পর্যন্ত স্বপ্ন সুস্থ আছে। পরিবারের সবাই এখন প্রথম মেয়ে স্বপ্নকে নিয়ে চিন্তিত। আগামীকাল সকালে দিনাজপুর মেডিকেলে নিয়ে স্বপ্নকে ভালো ডাক্তার দেখাব। স্বপ্নের মায়ের অবস্থা ভালো না। পদ্মা ও সেতু দুই মেয়েকে হারিয়ে পাগলপ্রায়।






তিনি আরও বলেন, নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতুর জন্ম হয়। জন্মের পর শিশুগুলোকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে তারা হলে সুস্থ হলে বাড়িতে নিয়ে আসি।
গত ১৮ জুলাই দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের টেগরা গ্রামের জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাদিনা বেগম (৩২) একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেন। পদ্মা সেতুকে স্মরণীয় করে রাখতে তাদের নাম রাখা হয় স্বপ্ন, পদ্মা ও সেতু।