





ঢাকার ধামরাইয়ে প্রয়াত সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর শয়ন কক্ষ থেকে আপত্তিকর অবস্থায় তরুণীসহ এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
আটক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা উপজেলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক ও কুশুরা এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে আলাল হোসেন সজীব।






মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ধামরাই পৌরশহরের বাগনগর মডেল টাউনের প্রয়াত উপ-পুলিশ পরিদর্শক দকির উদ্দিনের স্ত্রীর শোবার ঘর থেকে ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলাল হোসেন সজীব মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বয়সি নারীদের নিয়ে বাগনগর মডেল টাউনের এ বাড়িতে এসে আড্ডা জমান।






তারা সেখানে মাদক সেবন করেন বলে অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবাসী গোপনে পাহারার ব্যবস্থা করেন। আর রাত ৮টার দিকে এলাকাবাসী তরুণীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আলাল হোসেন সজীবকে হাতেনাতে ধরে। এরপর তাকে উপর্যুপোরি গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. শিমুল মোল্লা বলেন, এলাকাবাসী ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ওই তরুণীর পিতা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ধামারাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।






এ ঘটনায় প্রয়াত পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী বলেছেন, আমি সাংবাদিকদের কাছে কোনো কথা বলতে বাধ্য নই। আমার বাড়িতে আমি কি করলাম তা নিতান্তই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কারও কাছেই কোন জবাবদিহিতায় বাধ্য নই। থানা পুলিশ আছে, বিষয়টি তারাই দেখবেন।
এ ব্যাপারে আটক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলাল হোসেন সজীব বলেন, মেয়েটি আমার বান্ধবী। তাই তাকে নিয়ে এ বাড়িতে বেড়াতে আসি। এসময় এলাকার লোকজন আমাকে আটক করে আমার সম্মানহানি করে।






স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রয়াত ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়িতে এমন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এলাকাবাসী এব্যাপারে বার বার প্রতিবাদ করলে কোন সুফল হয়নি।