





আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালিয়ে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে এই ঘোষণা দেন। এদিকে তার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাতে দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদ সংস্থা সোমবার দেশটির সরকারের এ অবস্থানের কথা জানিয়েছে।
সেখানে বলা হয়, যে সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়ন করেছে, তাদের একজন নেতা হিসেবেই বিবেচনা করা হয় জাওয়াহিরিকে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, রবিবার ভোরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সিআইএ- এর চালানো ড্রোন হামলায় নিহত হন জাওয়াহিরি। সেই খবর নিশ্চিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, “ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
উল্লেখ্য, আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ২০১১ সালের ২ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন কমান্ডো হামলায় নিহত হওয়ার পর জাওয়াহিরি এ সংগঠনের নেতৃত্বে আসেন।
এদিকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান জাওয়াহিরি হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। বিষয়টিকে তালেবান সরকার দোহা চুক্তি ভঙ্গ হিসেবেই দেখছে।
আফগানিস্তানের তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে জাওয়াহিরি হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড আফগানিস্তানে গত ২০ বছরের ব্যর্থ অভিজ্ঞতারই পুনরাবৃত্তি এবং তা যুক্তরাষ্ট্র, আফগানিস্তান এবং গোটা অঞ্চলেরই স্বার্থ পরিপন্থি।
তাছাড়া, এই হত্যাকাণ্ড আন্তর্জাতিক নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০২০ সালে তালেবানের সই করা দোহা চুক্তির লঙ্ঘন বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।